স্বদেশ ডেস্ক:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন করতে চাওয়ায় ব্যবসায়ী নাজমুল হাসানকে দুদিন আগে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস থেকে নেমে তাকে ৩০ সেকেন্ড নৃশংসভাবে কোপানোর পর চলে যায় হামলাকারীরা।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নাজমুল সড়কের ধার দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক আসা একটি কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস তার সামনে থামে। এ সময় গাড়ি থেকে অস্ত্র হাতে একজন নেমে তাকে ধাওয়া করলে উল্টো দিকে ফিরে দৌড় দেন নাজমুল। আরও কয়েকজন মাইক্রোবাস থেকে নেমে তাকে ঘিরে ধরে কোপাতে শুরু করেন। এ সময় মাইক্রোবাসটি দ্রুত মৌলভীবাজারের দিকে চলে যায়।
গত রোববার দুপুরে চৈত্রঘাটে নিজ বাড়ির কাছে নাজমুলের ওপর এভাবেই হামলা চালানো হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে সিলেট উইমেনস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে মারা যান তিনি। উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছিলেন নাজমুল।
তার ওপর হামলা চালানোর ওই ভিডিওতে দেখা যায়, চার থেকে পাঁচজন কোপানোয় অংশ নিলেও আশপাশে ১০ জন ছিলেন। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে তাকে কুপিয়ে সন্ত্রাসীরা ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে চলে যান। এদিকে সিলেটে হাসপাতালে যাওয়ার সময় মুঠোফোনে লাইভে আহত নাজমুল হামলাকারী চারজনের নাম প্রকাশ করেন। লাইভে বলেছিলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তিনি রহিমপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী ছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তফজ্জুল। এ নিয়ে তার সঙ্গে বিরোধের জেরে তাকে প্রকল্পিতভাবে কোপানো হয়েছে।
ধলাই নদের বালুঘাট নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল বলে জানা গেছে। এ ছাড়া চৈত্রঘাট বাজারের দোকানঘর নিয়ে নিহত নাজমুলের সঙ্গেও একটি পক্ষের বিরোধ চলছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
হামলার ঘটনায় মাইক্রোবাসচালক আমির হোসেনকে (৪০) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলা হওয়ার পর জুয়েল মিয়া (৩৭) নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে দুই আসামিকে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলায় অংশ নেওয়া অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।